TET Review Petition: পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত টেট (TET) মামলায় অবশেষে রাজ্যের পক্ষ থেকে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বহু প্রতীক্ষার পর সুপ্রিম কোর্টে একটি রিভিউ পিটিশন (Review Petition) দায়ের করা হয়েছে, যা মামলার গতিপ্রকৃতিতে নতুন মোড় আনতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। বর্তমানে রাজ্যের হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর নজর এখন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দিকে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের রিভিউ পিটিশন
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো, এই রিভিউ পিটিশনটি দায়ের করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ প্রাইমারি এডুকেশন (West Bengal Board of Primary Education)। যদিও এটি সরাসরি ‘স্টেট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ বা রাজ্য সরকারের নামে দায়ের করা হয়নি, তবুও এটি কার্যত রাজ্যের পক্ষ থেকে করা পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সূত্র অনুযায়ী, ১২ই নভেম্বর এই রিভিউ পিটিশন ফাইল করা হয়েছে। এটি এখন পর্যন্ত রাজ্যের পক্ষ থেকে করা একমাত্র এবং সর্বশেষ রিভিউ পিটিশন বলে জানা গেছে। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, সরকারের পরিবর্তে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
বিভিন্ন পক্ষের আরও আবেদন জমা
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের রিভিউ পিটিশনের পাশাপাশি, এই মামলায় আরও কয়েকটি আবেদন জমা পড়েছে, যা মামলাকে আরও জটিল করে তুলছে।
- শ্যামলী হালদার: ১০ই নভেম্বর একটি মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশন (Modification Application) দায়ের করেছেন।
- বিধান কুমার মন্ডল: ১১ই নভেম্বর একটি রিভিউ পিটিশন জমা দিয়েছেন।
- বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি: এই সংগঠনটি ১২ই নভেম্বর একটি রিভিউ পিটিশন দায়ের করেছে।
এছাড়াও, পূর্বে দুটি মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশন দায়ের করা হলেও, সেগুলি বর্তমানে আর দৃশ্যমান নয় বলে জানা গেছে। এই একাধিক আবেদন প্রমাণ করে যে, মামলার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন পক্ষ নিজেদের বক্তব্য সর্বোচ্চ আদালতের সামনে রাখতে আগ্রহী।
ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ ও অনিশ্চয়তা
যদিও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ রিভিউ পিটিশন দায়ের করেছে, তবুও আরও কিছু প্রশ্ন এখনো অমীমাংসিত। উদাহরণস্বরূপ, মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ বা রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর আলাদাভাবে কোনো রিভিউ পিটিশন দায়ের করবে কিনা, সে বিষয়ে এখনো কোনো নির্দিষ্ট তথ্য মেলেনি।
বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দায়ের করা রিভিউ পিটিশনটি। এখন দেখার বিষয়, সুপ্রিম কোর্ট এই আবেদন নিয়ে কী পর্যবেক্ষণ দেয় এবং পরবর্তী শুনানির জন্য কোনো নতুন তারিখ ঘোষণা করে কিনা।
হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষক এই মামলার পরবর্তী সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মামলার রায় পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে প্রকাশিত। এটি কোনো আইনি বা সরকারি পরামর্শ নয়। মামলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আদালতের বিবেচনাধীন।









